
Posted on July 24, 2023 by zovoteam
ডিজিটাল পেইমেন্ট সিস্টেম আরও দ্রুতগতিতে নিয়ে আসুন
বর্তমানে সময়ে ই-কমার্স বিজনেস করুন কিংবা ডিজিটাল এজেন্সি হিসেবে সেবা প্রদান করতে অবশ্যই পেইমেন্ট সিস্টেমের গুরুত্ব কম নয়।
প্রতিনিয়ত আমাদের বাংলাদেশের ডিজিটাল কমার্স ইন্ডাস্ট্রি এতো বড় হচ্ছে যে আপনি ডাটা এনালাইসিসের সময় বিভিন্ন ফেক্টর দেখলে চমকে যাবেন। বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনা ময় একটি বাজার যা থেকে বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেভেনিউ আয় করা সম্ভব।
একজন সেলার – বিজনেসম্যান কিংবা এন্ট্রেপেনার হিসেবে যেভাবে নিজের অ্যাপে অথবা ওয়েবসাইটের জন্য একটি পেইমেন্ট সিস্টেম নিয়ে আসবেন তার সাথে একটি ই-কমার্স বিজনেস শুরু করতে যা যা প্রয়োজন তাও এই ব্লগে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে যে ক্রয় -বিক্রয় হয়ে থাকে তাকে একসাথে ই-কমার্স হিসেবে বলা হচ্ছে,
যেখানে আরও ছোট ছোট মার্কেট রয়েছে।
১. এফ-কমার্স ( ফেসবুক প্লাটফর্ম এ যে বানিজ্য হয়ে থাকে)
২. এম-কমার্স ( মোবাইল কমার্স, অর্থাৎ এনড্রয়েড / IOS কোন এপ্লিকেশনের মাধ্যমে যে বানিজ্য হয়ে থাকে)
৩.সোস্যাল কমার্স ( যেখানে দুনিয়ার সকল সামাজিক মিডিয়া কে একত্রে বলা হচ্ছে)
ই-কমার্স বিজনেস শুরু করতে পেইমেন্ট সিস্টেম অন্যতম একটি অংশ যেখানে যা যা করা দরকার
১. প্রতিষ্ঠানের জন্য ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করতে হবে
(ডোমেইন হচ্ছে ইন্টারনেট জগৎ এ একটি ইউনিক নাম দিয়ে থাকে যা দিয়ে আপনার কাস্টমার ভিজিট করার, সার্চ করার, শেয়ার করার সুযোগ দিয়ে থাকে অর্থাৎ আপনার বিজনেস নামটাই আপনি (.com/.net/.org/.xyz) এ রুপান্তর করতে পারবেন
আর হোস্টিং হচ্ছে একটি ডিস্ক ড্রাইভের মতো সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের / অ্যাপের ইমেজ,লেখা, ভিডিও এবং বিভিন্ন কোড কে রেখে দিতে পারবেন)
আপনি চাইলে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ওয়েব হোস্টিং প্রতিষ্ঠান হোস্টএভারের থেকে নিতে পারেন তারা আমাদের পার্টনার প্রতিষ্ঠান।
২.অ্যাপ / ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
এর পর আপনি চাইলে ই-কমার্স সাইটের প্রাথমিক ভাবে শুরু করার জন্য WordPress / shopify দিয়ে শুরু করতে পারেন। অ্যাপের ক্ষেত্রেও পাবেন সব সুযোগ সুবিধা তা হোক হোস্টিং কিংবা পেইমেন্ট সিস্টেম এ,
উ-কমার্স সিস্টেম ও পারবেন নিজের পেইমেন্ট সিস্টেম কে ইন্ট্রিগ্রেশন করার। তাই এই দিকেও থাকুন চিন্তা মুক্ত।
৩. প্রতিষ্ঠানের জন্য পেইমেন্ট মেথড নির্বাচন করতে হবে
পেইমেন্ট মেথড হচ্ছে – লেন-দেনের একটি মাধ্যমে যার সাহায্যে আপনার কাস্টমার / ইউজার সেবা নেওয়ার জন্য কিংবা পণ্য ক্রয় করার জন্য টাকা পে করতে পারবে। যেমন বাংলাদেশ এ অনেক পপুলার মাধ্যম আছে – বিকাশ,নগদ,রকেট,ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক ইত্যাদি এ আপনাকে একাউন্ট ওপেন রাখতে হবে
৪. তার পর ই-কমার্স সাইটের জন্য পেইমেন্ট সিস্টেম যুক্ত করতে হবে
উদ্যোক্তাপে বাংলাদেশের অন্যতম পেইমেন্ট সিস্টেম যারা মার্চেন্ট এবং মেনুয়্যাল লেন-দেন কে সবার জন্য সহজ করেছে
আপনি চাইলে Hostever থেকে যে কোন প্যাকেজ দিয়ে শুরু করতে পারেন)
মনে রাখবেন অবশ্যই ডোমেইন -হোস্টিং ছাড়া আপনি কোন ভাবেই ই-কমার্স সাইট তৈরি করতে পারবেন না এমনকি কোন পেইমেন্ট সিস্টেমের সেবাও গ্রহন মরতে পারবেন না তাই অবশ্যই এগুলো সবার আগেই ক্রয় করে নিতে হবে।
৫. ডিজিটাল পেইমেন্টের জন্য প্রস্তুত
এইতো, এতক্ষন এইসব ধাপে ধাপে পার করার পর আপনি এখন যখন ইচ্ছে যেভাবে চান পেইমেন্ট কালেকশন করতে পারবেন।
সর্বশেষ এ,
একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েব হোস্টিং সবচেয়ে বড় & গুরুত্ব পাওয়ার মতো বিষয়।
কেননা, আপনার ওয়েবসাইটের পেইজ লোডিং, ভিজিট হওয়ার স্পিড যদি ধীরে হয় তাহলে সেলস এবং রেভেনিউ, রেপুটেশন ৩ টাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাই যে কোন ওয়েব হোস্টিং নেওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখুন
১.স্টোরেজ হিসাব রাখুন
মিনিমাম ১০ জিবি দিয়ে ই-কমার্স শুরু করাই ভালো তবে টেস্টিং হিসেবে ৫ জিবি দিয়ে শুরু করতে পারেন।
২.ডাটা ব্যাকআপ
আপনি যে প্যাকেজ নিচ্ছেন সেখানে প্রতি সপ্তাহে ডাটা ব্যাকআপ করা হয়ে থাকে কিনা জেনে নিতে হবে
৩. লাইভ চ্যাট সেবা
ওয়েব হোস্টিং অনেক সেন্সিটিভ বিষয় সেখানে আপনাকে প্রতিনিয়ত খেয়াল রাখার পাশাপাশি জরুরি মুহুর্তে সেবা নেওয়ার জন্য অবশ্যই লাইভ চ্যাট এ যোগাযোগ রাখতে হবে তাই এই ফিচার টাও জেনে নিতে হবে
৪. সার্ভার লোকেশন
যদি আপনার বিজনেস এ কাস্টমার / ইউজার বাংলাদেশের হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই BDIX হোস্টিং নিতে হবে আর যদি এশিয়ার বিভিন্ন দেশে হয়ে থাকে তাহলে আপনার Singapore server এ নিতে পারেন কেননা লোকেশন যত কাছাকাছি হবে আপনার ভিজিটর তত দ্রত বাড়বে
৫.প্রতিষ্ঠানের রেপুটেশন
( খেয়াল রাখবেন প্রতিষ্ঠান কে দীর্ঘদিন বাংলাদেশের মার্কেটে আছে কিনা নাকি তারা একদম নিউ।
যেমন – hostever বাংলাদেশ এ গর্বিত ভাবে ২০১১ থেকেই ইন্ডাস্ট্রি তে সেবা দিয়ে আসছে অর্থাৎ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তারা সচল)
তাই এইসব বিষয় যদি মেনে আপনার ই-কমার্স বিজনেস এ অন্তর্ভুক্ত রাখতে পারেন দেখবেন দ্রতগতিতে আপনার লেন-দেন, ভিজিটর এবং সিস্টেম চলতে থাকবে। যা আপনার বিজনেসকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে,এতে আপনি হয়ে উঠবেন মার্কেটের অন্যতম সেরা লিডার।
তাই আজকেই উপরের বিষয় গুলো নিয়ে কাজ শুরু করুন।